২৭ ফেব্রুয়ারি কুলাউড়া থেকে প্রকাশিত এইবেলা নামক অনলাইন পোর্টালে " কুলাউড়ায় বনমন্ত্রীর ভাগনা পরিচয় দানকারী হতে চান বরমচাল বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি" শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম। তিনি প্রকাশিত সাথে ভিন্নমত পোষণ করে প্রতিবাদলিপিতে বলেন, আমি নাকি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর ভাগনা ছিলাম। যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আমি বনমন্ত্রীর কোন আত্মীয় নই, আমার নানা বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের পনাইরচক গ্রামে৷ আমার নানার নাম মৃত আব্দুল গণি। মামা পাঁচজনের মধ্যে চারজন মৃত এবং মামা আহমদ মিয়া শুধু জীবিত। ওই সংবাদের সত্যতা যাচাই না করে বরমচাল ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজমল আলী শাহ সেন্টুর যোগসাজশে এইবেলা সম্পাদক প্রভাবিত হয়ে এই মিথ্যাচার করেছেন৷
সংবাদে তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, পতিত সরকারের সুবিধা নিয়ে আমি নাকি এলপিজি গ্যাস ও পেট্রোল পাম্প করেছি। প্রকৃতপক্ষে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছি৷ অত্যন্ত সুনামের সাথে বরমচাল ইউনিয়নে আমি ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছি।
আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমার পরিবারের বাবা-চাচারা থেকে শুরু করে পুরো পরিবার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএনপির রাজনীতি করে আসতেছেন। আমিও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত সেটা উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা অবগত আছেন। কখনই আমাদের পরিবার ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। যদি কেউ আওয়ামী লীগের কোন দলীয় সভা কিংবা কর্মসূচিতে আমার সম্পৃক্ততা বা আওয়ামী লীগের কোন কমিটিতে আছি সেটা যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমি বিএনপির রাজনীতি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিবো৷
আমার ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে যুবলীগ সভাপতি আজমল আলী শাহ সেন্টু জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অথচও ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে৷
আর জায়গা-জমি দখলের বিষয়ে যেটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটাও মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পারিবারিক অনেক সহায়-সম্পত্তি রয়েছে৷ আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ফ্রান্স প্রবাসী, আর মেঝ ভাই বদরুল ইসলাম দুবাই প্রবাসী৷ আমরা তিন ভাই মিলে প্রতিবছর সরকারকে রাজস্ব কর দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি দিয়ে কয়েক জনম খেয়ে পড়ে যেতে পারবো৷ তাছাড়া এলাকায় নিরীহ মানুষদের হয়রানি করেছি এমন একটা প্রমাণ থাকলে কেউ দেখাক, চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম।
বিশেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে বরমচাল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনকে সামনে রেখে ইউনিয়নের খাদিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সাত নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আজমল আলী শাহ সেন্টু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যুবলীগ নেতা সেন্টুর যোগসাজশে এইবেলা সম্পাদক আমার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়ে এই মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই অপপ্রচারের সাথে জড়িত ব্যক্তি ও এইবেলা সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানীর মামলা দায়ের করবো৷ #বিজ্ঞপ্তি