গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে " কুলাউড়ায় যুবলীগ নেতার কবল থেকে সরকারি রাস্তা উন্মুক্ত" শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বরমচাল ইউনিয়নের খাদিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজমল আলী শাহ সেন্টু৷ তিনি বলেন,বরমচাল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফাতেমা ইব্রাহিম শাহ সড়কটি এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য দান করেছি। সেই রাস্তায় সরকারিভাবে অনেক উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন চলাচল করছেন।
ব্রাহ্মণবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের থেকে পশ্চিমমুখী রাস্তাটি আমাদের পারিবারিক সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই রাস্তার পাশে আমাদের পরিবারের ফসলি ও গাছের বাগান রয়েছে। বিভিন্ন সময় দুষ্কৃতকারীরা ওই বাগানে রাতের আধারে আড্ডায় মেতে উঠেন৷ তাই নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রাস্তার প্রবেশমুখে একটি গেইট তৈরি করেছি৷ সম্প্রতি এলাকার লোকজন ওই রাস্তা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাস্তাটি উন্মুক্ত করার জন্য আমাকে নির্দেশনা দিলে আমি স্বেচ্ছায় রাস্তাটি এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে উন্মুক্ত করে দেই। গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি হযরত শাহ কালা মাজারের খাদিম হওয়ার স্বার্থে অনেকের সাথে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে অনেক ছবি উঠতে হয়েছে। তাই বলে আমাকে যুবলীগ নেতা আখ্যায়িত করে বিভিন্ন প্রচারনা চালানো হচ্ছে। আসলে আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত৷ আমি একসময় ছাত্রদল ও জাসাসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে যে বা যারা এরকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, “এই রাস্তা কখনোই দখল করা হয়নি, বরং আমরা নিজেরাই জনগণের স্বার্থে এটি উন্মুক্ত করে দিয়েছি।“আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমি শাহকালা মাজারের খাদিম। আমার কাছে অনেকে আসেন সহযোগিতা নিতে৷ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
আজমল আলী শাহ সেন্টু, খাদিম, শাহকালা (রহ:) মাজার, বরমচাল #বিজ্ঞপ্তি