নিউজ ডেস্কঃ খেয়াল খুশিমতো স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় সই করেন শিক্ষকরা। ক্লাসও নেন নিজেদের মর্জিমতো। শিক্ষার্থীরাও আসে তাদের ইচ্ছেমতো। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
রবিবার ৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডী ও ভূকশিমইল ইউনিয়নের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এ চিত্র দেখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন।
জানা যায়, সরকারি সময় অনুযায়ী সকাল ৯টায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা ১০টার আগে বিদ্যালয়েই আসেন না। এমন কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গৌরীশংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মীরশংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগগুলোর সত্যতা পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, স্যাররা ১০টায় আসেন। এরপরে ক্লাস শুরু হয়। এ কারণে তারা সাড়ে ৯টার পর স্কুলে আসে। ওই ৩টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পাওয়া না গেলেও অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, অনেক সময় বিভিন্ন কাজ থাকার কারণে এবং বাড়ি দূরে হওয়ায় বিদ্যালয়ে ঠিক সময়ে আসা যায় না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসব বিদ্যালয়ে যাই। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এসব বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আসেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন ভুঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে। নির্ধারিত সময়ে যদি কেউ ক্লাস শুরু না করে এবং কেউ যদি বিলম্বে স্কুলে আসে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।