বন্যার পানি ধীরগতিতে কমছে, বাড়ছে দুর্ভোগ


নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে তিন দিন ধরে প্রখর রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বন্যার পানি কমছে ধীরগতিতে। রোববার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো  সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, হাওরসহ  সিলেটের নিচু এলাকা এখনো পানিতে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও মনু নদের পানি সিলেটের কুশিয়ারা নদীতে যুক্ত হচ্ছে। তাই বৃষ্টি কমলেও কুশিয়ারা নদীর পানি নামছে ধীরগতিতে।

উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে বৃষ্টি হলে আবার বন্যার পানি বৃদ্ধির সংঙ্কায় রয়েছেন বানবাসী মানুষ। বাড়ি-ঘর, গ্রামীন রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে রয়েছে। তবে কমলগঞ্জ, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলায় বন্যার উন্নতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে এখনো পানি রয়েছে। বানভাসির মধ্যে কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে অথবা উঁচু স্থানে, আবার অনেকেই নিজের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করছেন। এখন ওই সব এলাকার বানভাসি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে।

মোউলভীবাজারে ২০৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারী ও বেসরকারীভাবে বানবাসীদের শুকনো খাবার ও জরুরী ত্রান সামগ্রী দেয়া হচ্ছে তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সমস্যা রয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানায়, বন্যায় জেলায় ৪৯টি ইউনিয়নের ৬৩ হাজার ২‘শ ৫০ টি পরিবার ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮১৫ মে: টন চাল ও জিআর ক্যাশ দেয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা। 

Post a Comment

Previous Post Next Post