নিউজ ডেস্কঃ আয় আরেকটিবার, আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়- কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের এই গানের পুরানো বন্ধুদের আহবানে সাড়া দিয়ে যেন একত্রিত হয়েছিলো কুলাউড়া নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি ১৯৯২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। প্রাণোচ্ছ্বাস ২০২৪ নামের এই অনুষ্ঠানটি প্রাণের উচ্ছ্বাসে দিনভর মুখর ছিলো ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
রাজনগর উপজেলার মনোরম স্থান মাথিউরা চা বাগানের বাংলোয় ছিলো অনুষ্ঠান। চা বাগানের লেক, চা বাগান, রাবার বাগানের মনোহর দৃশ্যে ছবিতুলা, নাচ গান, খেলাধুলা, পুরুষ্কার বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা সারতে সারতে বেলা গড়িয়ে সুর্য পশ্চিম আকাশে। ফেরার তাড়নাটাই তখন সকল আনন্দ উচ্ছ্বাসকে দিয়েছিলো বিষাদময়তা।
প্রথমেই ছিলো মনোরম লোকেশনে ছবি তোলার অঘোষিত এক প্রতিযোগিতা। টানা দু’ঘন্টা ছবি তোলেও সাধ যেন মিটেনি। ছবি তোলা পর্ব শেষ না হতেই বাংলোর সামনে প্রস্তুত মঞ্চে সবার পারিবারিক পরিচিতি ও বিগত দিনের স্মৃতি রোমন্থনে দুপুর গড়িয়ে যায়। শুরু হয় প্রতিযোগিতা। মহিলাদের হাড়ি ভাঙা আর বালিশ খেলা। সেই সাথে শিশুদের দৌঁড় প্রতিযোগিতা ৩গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে অংশগ্রহণকারী সকল বন্ধুদের দৌঁড় প্রতিযোগিতা পালা শেষ হতে না হতেই সবার চোখে মুখে খিদের যাতনা।
প্রতিযোগিতা চলাকালে বাউল শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা চলে একাধারে। ততক্ষণে সবার খিদের তাড়না শুরু হয়। অবশ্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। সবার সামনে বিতরণ করা হয় খাবারের প্যাকেট।
খাবার শেষ হলেই শুরু হয় সংগীত পরিবেশন আর পুরুস্কার বিতরণের মিশেল। সুয়েবুর রহমান সুয়েবের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় চলে পুরস্কার বিতরণ। আর সংগীতে মাতিয়ে রাখেন আশীষ আচার্য্য ও শিউলী আচার্য্য দম্পতি।
যাদের অংশগ্রহণে প্রাণোচ্ছ্বাস অনুষ্ঠানটি সফলতা পায় তারা হলেন ব্যারিস্টার আবু সাদেক আব্দুল্লাহ, সুয়েবুর রহমান, মঈনুর রহমান সুয়েব, আজিজুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম, ফয়ছল আহমেদ, জুবের খান, এমএ মোহাইমিন, আবুল কাসেম, আশীষ আচার্য্য, অঞ্জন বারই, জুনেদ আহমদ, দোলোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম, উজ্জ্বল আহমদ মজুমদার, শাহীন আহমদ, নুরুল ইসলাম সুয়েব, মিছবাউজ্জামান চৌধুরী লিটন, কান্ত দেব, জামান আহমেদ, মিতুল, আলী, মখলিছ, জিতু, এবং রুমি প্রমুখ।