স্টাফ রিপোর্টারঃ জুড়ীতে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থী খাদিজা সুলতানা (১১) উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর কুলসুমা বেগম (১৪) নামে আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বটুলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী খাদিজা সুলতানা ও নবম শ্রেণীর কুলসুমা বেগম সকালে বিদ্যালয়ে যান ভর্তি হতে। ভর্তি শেষে বাড়ী ফেরার পথে বিদ্যালয়ের সামনের ফুলতলা টু বটুলী আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপোরোয়া মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুজন শিক্ষার্থী সড়ক থেকে পাশের খাদে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর খাদিজা সুলতানা ও কুলসুমা বেগম বেশ কিছু সময় সড়কের পাশের খাদে পড়েছিল। পরে আশেপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খাদিজা সুলতানাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত কুলসুমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার এসআই ফরহাদ মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক ছাত্রী নিহত ও আরেক শিক্ষার্থী আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলু রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এমন দুর্ঘটনা আমাদের কাম্য নয়। অদক্ষ চালকের কারণে এবং বেপরোয়া গতির কারণেই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। তবে এ সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা এখন পদক্ষেপ নেবো। এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।