নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী এবাদুর রহমান চৌধুরী আর নেই।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি চার মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এবাদুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার নাতি লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক মুনজের আহমদ চৌধুরী।
তিনি মুঠোফোনে বলেন, নানা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। বুধবার বিকেল তিনটায় ঢাকা ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাত ত্যাগ করেন। নানার প্রথম জানাজা আজ বাদ মাগরিব ঢাকার লালমাটিয়া সি ব্লক জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি নেওয়ার পথে মৌলভীবাজার শহরে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা ও সকাল ১১ টায় বড়লেখায় তৃতীয় জানাজা শেষে তাঁকে গাংকুল গ্রামে দাফন করা হবে।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী এবাদুর রহমান চৌধুরীর মৃত্যুতে এলাকার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে।
প্রসঙ্গত, এবাদুর রহমান চৌধুরী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান থেকে সক্রিয় রাজনীতির শুরু করেন। পেশায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এবাদুর রহমান চৌধুরী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন। এরপর বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে ধীরে ধীরে সরে যান।