নিউজ ডেস্কঃ আষাঢ়ে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে সিলেটে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এরই মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিওমেক) ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৩টি ওয়ার্ডে পৃথক ডেঙ্গু কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী। গত ৬ মাসে সিলেট বিভাগে ৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে শনাক্ত হয়েছেন একজন ডেঙ্গু রোগী।
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানিয়ে সিলেট বিভাগীয় উপ পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শরীফুল হাসান জানান, সিলেট মহানগর ও জেলার পাশাপাশি বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী।
তিনি জানান, বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের ১২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ৪ জন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া সিলেটের গোয়াইনঘাট, মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে একজন করে রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সিলেট বিভাগে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় সিলেট জেলার গোয়াইঘাট উপজেলায়। সেই রোগীর ঢাকা ভ্রমণের রেকর্ড পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ঢাকা ভ্রমণের সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানা তিনি।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের তিনটি ওয়ার্ডে পৃথক তিনটি ডেঙ্গু কর্নারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিম করা হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে এটি মোকাবিলা করা যাবে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এ সময়ে সতর্ক থাকার কোনও বিকল্প নেই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। আর ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অন্যথায় বড় জটিলতা তৈরি হতে পারে। - সিলেট টূ ডে