নিউজ ডেস্কঃ প্রচন্ড তাপাদাহের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা সদর সহ অন্যান্য উপজেলায় ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পবিত্র রমজাম মাসে বারবার সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করার পরও মিলছে না কোন সমাধান। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে নানা উক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা ও অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহরির সময় দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়মিত হয়ে গেছে। একদিকে রমজান মাস অন্যদিকে চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের তীব্র দাবদাহ। এ অবস্থায় ঘনঘন বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে জনজীবন। গরম থেকে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা।
স্থানীয়রা জানান, পবিত্র মাহে রমজানের ১৫ রোজার পর থেকেই বিদুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জেলার মানুষ। প্রায় সময় প্রচন্ড তাপাদাহের মধ্যে লোডশেডিং হচ্ছে। এ ছাড়া সামান্য বাতাস শুরু হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঝড় বৃষ্টি হলে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। অভিযোগ উঠেছে সামান্য বাতাস দিলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কথা নহে।
মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগে বিদ্যুতের এই বিভ্রাটের কারণে চরম ক্ষতির সম্মুখীন জেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান পাট।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ কি এখন আবহাওয়াবিদেরা চালান? তা না হলে ঝড় তুফান আসার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায় কি ভাবে।’
অনেকেই হতাশ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘খুব কষ্ট লাগে রমজান মাস, সাহরির সময়, কিন্তু কারেন্ট নাই, রাত ১২টা পর থেকে। পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসটা দেখার কি কেউ নেই।’
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে একবার বিদ্যুৎ গেলে আসতে প্রায় কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। এমন অবস্থা রাত কিংবা দিনব্যাপী চলছে। এই সমস্যা সম্প্রতি আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। গরমের দিনে বিদ্যুতের এই সমস্যার কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগ (বিক্রয় ও বিতরণ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুল বাহার জানান, শুধু সদর উপজেলায় জেলায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৪ মেগাওয়াট। বর্তমান চাহিদার বিপরিতে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীড থেকে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকবে।