নিউজ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সাংবাদিকসহ একাধিক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় আন্ত:বিভাগীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও ৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে।
শুক্রবার দুপুরে কুলাউড়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপকংর ঘোষ।
পুলিশের অভিযানে ৬টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ আন্ত:বিভাগীয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কালেঙ্গার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়া (২৬), সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ এলাকার বাসিন্দা রাসেল আহমদ (২৮) ও একই উপজেলার মেহেরপুরের বাসিন্দা জুনেদ আহমদকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কুলাউড়াসহ আশেপাশের এলাকা থেকে একাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। গত ২৮ নভেম্বর কুলাউড়া পৌর শহরের মাগুরা আবাসিক এলাকা থেকে গণমাধ্যকর্মী সঞ্জয় দেবনাথের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এর সূত্র ধরে তৎপর হয় পুলিশ। প্রথমে চোর চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীরকে বুধবার সন্ধ্যায় কুলাউড়া পৌর শহরের কাছুরকাপন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাঁর কাছে সাইকেল চুরির বিশেষ চাবি পাওয়া যায়। জাহাঙ্গীরের দেয়া তথ্যমতে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক, উপ পরিদর্শক শাহ আলম, আব্দুর রহিম জিবান, এএসআই মো. নাজমুল হোসেনসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রাসেলকে বুধবার গভীর রাতে কমলগঞ্জের কালেঙ্গা গ্রামে তার শশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আটক জাহাঙ্গীর ও রাসেলর স্বীকারোক্তিতে চোর চক্রের সদস্য জুনেদ, সামাদ ও মামুনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালান পুলিশ। সেখানে প্রথমে জুনেদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ তাঁকে (জুনেদকে) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই উপজেলার পানিয়াগাঁ গ্রামে চক্রের সদস্য সামাদের বাড়িতে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় সে (সামাদ)।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে ওই চক্রের মূলহোতা মামুন, সামাদ ও কায়ছার এ ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে মামুন মোটরসাইকেল মেকানিক। সে চোরাইকৃত মোটরসাইকেলের অরিজিনাল ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার পরিবর্তন করে সেটা নিজেদের মতো নাম্বার বসাতে খুব পটু। চোর চক্রের বাড়ি থেকে ৬টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপকংর ঘোষ জানান, চোর চক্রের অন্য সদস্য মামুন, সামাদ ও কায়ছার পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হলে সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথের মোটরসাইকেলসহ চুরি হওয়া বাকি মোটরসাইকেলগুলোও উদ্ধার করা যাবে।