ইমাদ উদ দীন: তোরণ,ব্যানার,ফেস্টুন আর পোস্টার দিয়ে সাজানো হচ্ছে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্পট। ইতিধ্যেই নির্মিত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক তোরণ। পদপ্রার্থী ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের ছবিসম্বলিত ফেস্টুন,ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে সাজাতে বসেনেই। দলীয় নেতাকর্মীদের দৃষ্টিকাড়তে উৎসব মুখর পরিবেশে অনেকটা প্রতিযোগিতা করেই চলছে তোরণ নির্মাণ ও ব্যানার, ফেস্টুন লাগানোর কাজ।
১০ অক্টোবর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করতে এখন চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। কে হচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি,সম্পাদক তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। নানা কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ার পর সম্মেলন ও কাউন্সিলকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে উজ্জ্বীবিত দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দলের হাই কমান্ড থেকে সম্মেলনের প্রস্তুতির নির্দেশনা আসার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
১০ অক্টোবর সকাল ১০ টায় মৌলভী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সম্মানিত অতিথি কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুল আলম হানিফ এমপি,আহমদ হোসেন, মো: শহাব উদ্দিন এমপি,উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ এমপি,প্রধান বক্তা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল,বিশেষ অতিথি নেছার আহমদ এমপি,সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান,বিশেষ বক্তা যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল আলম জোয়ারদার সৈকত,অধ্যাপক ড.মো: রেজাউল কবির,সৈয়দা সানজিদা শারমীন।
জানা যায় দীর্ঘ ৫ বছর পর নতুন নেতৃত্ব আসছে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগে। সেই আলোকে প্রস্তুতি চলছে। জেলা সভাপতি ও সম্পাদক হতে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত অনেক আগেই তলব করে নিয়েছে কেন্দ্রয়ী কমিটি। জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়ার পর তা নানা ভাবে যাচাই বাচাই শেষে জানানো হয় সম্মেলনের দিনক্ষণ।
জানা যায় ২০১৭ সালের ৪ মে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। ওই সময় সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিদ আহমদকে সভাপতি এবং সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। জেলা ও উপজেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি হওয়ায় ও কোভিট-১৯ এর কারণেও অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে দলীয় কার্যক্রম। মূলত তৃণমূলের কর্মীদের এমন বাস্তবিক অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে আমলে নেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
জানা যায় ১৩ মে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। ওই সময় মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের ২২ জন নেতা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১২ জন। জীবনবৃত্তান্ত জমা দানের পর থেকে পদ-পদবি পেতে লবিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তারা। নেতাকর্মীদের দেওয়া তথ্যমতে সভাপতি পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন,সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব,সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন চৌধুরী ফাহিম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সেলিম হক,পান্না দত্ত,সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রুমেল,সহ সম্পাদক সিতার আহমদ,সদস্য মবশ্বির আহমেদ,আব্দুর রহমান,মতিউর রহমান মতিন। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গৌছ উদ্দিন নিক্সন,সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন মো. ওয়াহীদ সৈকত,সাংগঠনিক সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু,প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাজিব,শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল,অর্থ সম্পাদক সন্দীপ দাস,উপ-দপ্তর সম্পাদক তুষার আহমদ,সহ-সম্পাদক সাদমান সাকিব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রনি,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনি। কেন্দ্রীয় যুবলীগের মহিলা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসীন আলীর মেয়ে সৈয়দা সানজিদা শারমিন বলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির যোগ্য নেতৃবৃন্দের সার্বিক দিকনির্দেশনায় সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগেও নতুন বলিষ্ট নেতৃত্ব আসবে। যাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে এ জেলায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান হবে এমনটি প্রত্যাশা করছি।
জেলা যুবলীগ সভাপতি নাহিদ আহমদ জানান সম্মেলন সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনকালীন সময় ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছি। এর সুফলও আমরা ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেয়েছি। একাধিক যুবলীগের নেতারা নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। এধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে যারা নেতৃত্বে আসবেন তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি না করে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করা।