কুলাউড়ায় ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের উপচে পড়া ভিড়



এস আলমঃ কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভ্যাকসিনের টিকা গ্রহণকারীদের উপচে পড়া ভিড়ে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। প্রথমদিকে টিকা কার্যক্রমের ধীরগতির জন্য নিবন্ধকারীদের জট লেগে ভিড়ের সূত্রপাত হয়। এতে করে টিকা গ্রহণকারী ও টিকা কার্যক্রমে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েন।

জানা যায়, বুধবার ২ হাজার ৫৬ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। যা অন্যান্য দিনের তুলনায় সর্বোচ্চ।

বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের ২য় তলার পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা দুইটি রুমে ৭টি বুথের মাধ্যমে টিকাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকাদানের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের প্রবেশমুখ ও সিঁড়িতে টিকা গ্রহণকারীদের উপচে পড়া ভিড়। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গরম আর করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব না মানতে পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় দুর্ভোগে পড়েছেন টিকা গ্রহণকারীরা। টিকাদানে দায়িত্বরতরা রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন এই ভিড় সামাল দিতে।

নিজের স্ত্রীকে টিকা দিতে নিয়ে যাওয়া ফয়ছল আহমদ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি টিকা দেওয়ার জন্য। দুপুর ২টা হয়ে গেছে এখনো টিকা দেওয়া হয়নি। নিবন্ধনের কপি যাচাইয়ে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। টিকা দেওয়ার জন্য বুথের ভিতরে গেলে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় থেকে আমার স্ত্রী টিকা দিয়ে বের হননি।

টিকা দিতে যাওয়া জয়নুল আহাদ বলেন, ১২ দিন আগে অ্যাপে নিবন্ধন করেছিলাম। মঙ্গলবার রাতে ম্যাসেজ এসেছে। আগে শুনেছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তেমন ভিড় থাকে না। আজ এসে এই ভিড় দেখে বিড়ম্বনায় পড়ে গেছি। সকাল এগারোটার দিকে এসে তিন ঘণ্টা ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে আমি টিকা দিয়েছি আমার বয়স্ক মা ও স্ত্রীকে নিয়ে।

ব্যাংক কর্মকর্তা চঞ্চল আহমদ বলেন, ১২ টার দিকে মাকে নিয়ে এসে ভিড়ের জন্য বাহিরে দাঁড় করে রেখেছি। সিরিয়াল আসলে মাকে উপরে টিকা বুথে নিয়ে আসবো। বুথ যদি আরও বাড়ানো হতো ও প্রথমদিকে আরও বেশি করে নিবন্ধকারীদের টিকা দেওয়া হতো তাহলে এ জটলা সৃষ্টি হতো না।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. ফেরদৌস আক্তার বলেন, বুধবার কতজনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বিকেলের আগে সেটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে না। তবে প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। টিকাগ্রহণকারীদের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৭ তারিখ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে অ্যাপে নিবন্ধকারীদের জট কমাতে হচ্ছে। এজন্য টিকাগ্রহণকারীদের ভিড় বেড়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post