নিউজ ডেস্কঃ প্রতিবারে ন্যায় এবারও সিলেট শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখা দরিদ্র বিমোচনে যাকাত-ফিৎরার ভূমিকা ও স্থানীয়ভাবে ফিৎরার পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।
সিলেটের মুফতীয়ানে কেরাম, উলামা মাশায়েখ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ও ইমাম-খতিবগণের সাথে আলোচনা ক্রমে ও শহরের বিভিন্ন খুচরাবাজার যাচাই করে আটা ১৬৫০ গ্রাম ও খেজুর, কিসমিস, পনির ৩৩০০ গ্রামের মধ্যম কোয়ালিটির মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে ফিৎরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
সিলেট মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মতামত প্রদান করেন
দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ: মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, কাজিরবাজার মাদরাসার মুফতি শফিকুর রহমান, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার মুফতি মাওলানা আব্দুল মুছব্বির, শাহজালাল ডিওয়াই কামিল মাদরাসার মুফতি মাওলানা আবু সালেহ কুতবুল আলম, দারুস সালাম মাদরাসার মুফতি এনামুল হক জালালাবাদী, ইমাম সমিতি সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা এহসান উদ্দীন, জালালাবাদ ইমাম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাওলানা মতিউর রহমান, মুফতী বুরহান উদ্দিন কাসেমী, মুফতী মজির উদ্দিন কাসেমী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইসলামী স্কলারগণ এসব বাটখারার হিসেব করে ১০০/১৫০ গ্রামের কম-বেশি পাওয়া যায়। ফিৎরায় ওজনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় কিসমিস ও খেজুর ৩৩০০ গ্রাম যা শরীয়তে ১ সা’, আটা, যব যা নির্ধারণ করা হয় ১৬৫০ গ্রাম, যা শরীয়তে অর্ধসা। আগামী দিনগুলোতে এ পরিমাপে সকল ফিৎরাদাতাগণ ফিৎরা দেয়ার জন্য সকল মুসলমানকে আহবান জানান।
আলোচনা করে সর্বসম্মতিতে সিলেট অঞ্চলে সর্বনিম্ন আটা দিয়ে ৭০ টাকা, খেজুর দিয়ে ৬০০ টাকা, কিচমিচ দিয়ে ৯৯০ টাকা ও সর্বোচ্চ পনির দিয়ে ৩ হাজার ৩৩৩ টাকা ঘোষণা করা। পাশাপাশি শুক্রবার জুম্মার বয়ানে যাকাত ফিৎরা বিষয়ে আলোচনা করার জন্য নগরীর সকল ইমাম খতিবদের প্রতি আহবান জানান।