অনলাইন ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনের আগুন তিন ঘন্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বেলা ৩টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বনের ভেতরনে অনেকস্থানে আগুন জ্বলছিলো।
বনের ভেতরে রাস্তা না থাকা ও পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় এই উদ্যানে আগুন লেগে যায়। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, লাউয়াছড়া বনের ভেতরে স্টুডেন্ট ডরমেটরি অংশে কাজ করছিলেন কিছু শ্রমিক। দুপুর ১২ টার দিকে ওই এলাকায় হঠাৎ আগুন লেগে যায়।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রের চেষ্টা করছে। তবে বনের ভেতরে রাস্তা না থাকায় ফায়ার সার্ভিস ভেতরে ঢুকতে পারছে না। সেই সাথে পানির সল্পতার কারণেও আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তবে ফায়ার সার্ভিসের কমলগঞ্জ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম দুপুর আড়াইটার দিকে জানিয়েছেন, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে।
যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তখনও বনের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছিলো।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বনবিভাগের লোকজন এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুনে বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে ধারণা করছি।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কি কারণে আগুন লাগল তা তদন্ত করবে বনবিভাগ।
১২৫০ হেক্টর জমি নিয়ে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ১৯৯৬ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উদ্ভিদ আর প্রাণীবৈচিত্রের আঁধার এই বন বিভিন্ন বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। বন বিভাগের হিসেব মতে, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৯ প্রজাতির সরীসৃপ (৩৯ প্রজাতির সাপ, ১৮ প্রজাতির লিজার্ড, ২ প্রজাতির কচ্ছপ), ২২ প্রজাতির উভচর, ২৪৬ প্রজাতির পাখি ও অসংখ্য কীট-পতঙ্গ রয়েছে। এই বনে বিরল প্রজাতির উল্লুক, মুখপোড়া হনুমান, চশমাপড়া হনুমানও দেখতে পাওয়া যায়।