নিউজ ডেস্কঃ সাবেক সংসদ সদস্য, কৃষক লীগের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বারের ৭৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তাঁর বাণীতে আব্দুল জব্বারের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্র সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মম হত্যাকান্ডের পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এ জন্য তাঁকে কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘মরহুম আব্দুল জব্বার ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তাঁর জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান আব্দুল জব্বারের সঙ্গে মাটি ও অবহেলিত মানুষের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। তাঁর ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা, দলের প্রতি আনুগত্য, কর্মী-বান্ধবতা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে।’
বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল জব্বার-এর ৭৫তম জম্মজয়ন্তীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্নেহধন্য আব্দুল জব্বার ১৯৬২ এর শিক্ষা-আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয় দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন, ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গৌরবজনক ভূমিকার জন্য ২০২০ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।’
অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান আব্দুল জব্বারের সঙ্গে মাটি ও অবহেলিত মানুষের সর্ম্পক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। তাঁর ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা, দলের প্রতি আনুগত্য, কর্মী-বান্ধবতা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং একুশে পদক প্রাপ্ত মরহুম আব্দুল জব্বারের ৭৫তম জন্মজয়ন্তীতে আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশন উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে ১৭ নভেম্বর মঙ্গবার বিকাল ৪টায় কুলাউড়া স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।