শরণার্থী ইস্যুতে মেক্সিকোকে চাপে রাখছে ট্রাম্প


অনলাইন ডেস্কঃ সমালোচনা শুরু হয়েছে ঘরে-বাইরে। তবে মেক্সিকোর শরণার্থী ইস্যুতে নিজ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পাশেই দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মেক্সিকো সরকারের প্রতি এক ট্যুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘মধ্য আমেরিকা, বিশেষ করে হন্ডুরাস থেকে আসা এই কয়েক হাজার অভিবাসীকে অবিলম্বে তাদের দেশে ফেরাতে হবে। এরা কোনও ভাবেই আমেরিকায় আসতে পারবেন না।’’

এমনটা না হলে ফের অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলার প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন কংগ্রেসই এর জন্য অর্থের ব্যবস্থা করবে। এদিকে ট্রাম্পের এই বার্তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি মেক্সিকো সরকার।

গত রবিবার সকালে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ ভাবে আমেরিকা ঢোকার চেষ্টা করছিলেন পাঁচ শতাধিক অভিবাসী। মেক্সিকো সীমান্তের টিয়ুয়ানায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জড়ো হয়েছেন প্রায় চার-পাঁচ হাজার অভিবাসী। এদের মধ্যে বেশির ভাগই হন্ডুরাসের বাসিন্দা। রবিবারের দলটিতে ছিলেন বেশ কিছু মহিলা ও শিশুও। তাঁদের আটকাতেই কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে মার্কিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর লোকজন। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক মা ও তাঁদের সন্তানেরা।

বিষয়টি নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচিত হচ্ছেন ট্রাম্প প্রশাসন। ডেমোক্র্যাট শিবির তো বটেই, বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠনও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে। তবে তাঁর বাহিনীর কাজে একেবারেই ক্ষুব্ধ নন ট্রাম্প। বরং তাঁর দাবি, মেক্সিকো সীমান্তে শিশু ও মহিলাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে আমেরিকায় ঢুকতে চাইছিলেন মধ্য আমেরিকার এক দল অপরাধী।

যারা বেশির ভাগই একা পুরুষ। এঁদের প্রত্যেকেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তাদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না সীমান্ত রক্ষীদের কাছে। যদিও কী ভাবে এদের অপরাধী বলে চিহ্নিত করা হল, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আরও দাবি, ওই কাঁদানে গ্যাস সুরক্ষিত ছিল। তাতে শিশুদের ক্ষতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post