অনলাইন ডেস্কঃ দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তির পরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল এ মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে হাই কোর্টের দেয়া রায়ের আদেশে বলা হয়, বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেয়।
তবে বিএনপি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার তিন আসনে বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না বিষয়টি মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে এমনটাই মনে করা হয়েছে।
সাজার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিল বিভাগে এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাই কোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল বিচারাধীন রয়েছে। তার সাজা স্থগিত হলে কিংবা আদালত নির্বাচন করতে পারবেন বলে আদেশ দিলেই তিনি নির্বাচন অংশ নিতে পারবেন। সে পর্যন্ত বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেওয়ার লক্ষে বেগম খালেদা জিয়া এবার মনোনয়ন পেয়েছেন ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে।
জানা গেছে, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন দুটি থেকে তার পক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু দলটির মহাসচিবের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করেন।
আর ফেনী-১ আসনে বেগম খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে রয়েছেন রফিকুল আলম মজনু। তিনি ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সভাপতি। তার বাড়ি ফেনীতে। এছাড়া নূর মোহাম্মদ নামে আরও একজন প্রার্থী রয়েছেন।
শোনা যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের কেউ বা সিনিয়র কোনো নেতাকে সেখান থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।