আশিকুল ইসলাম বাবু: কলেজে ক্লাশ শেষ করেই রিনয় এক মুরব্বি চাচার দোকান থেকে সিগারেট কিনল এবং দোকান থেকেই ম্যাচ নিয়ে মুরব্বি চাচার সামনেই সিগারেট ধরিয়ে ম্যাচ ফিরত দিল রিনয়। কলেজ গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রিনয়ের কয়েকজন বন্ধু। রিনয়ের বন্ধুরা সবই রিনয়ের এর মত, কলেজের বখাটে ছেলেদের মধ্যে এই গ্রুপটাই সেরা তবে রিনয়ের বেস্ট ফ্রেন্ড অর্নব একটু অন্য রকম। খারাপদের মধ্যে থেকেও অনেক সুন্দর চলাফেরা অর্নবের। সবাইকে কলেজের গেইটের সামনে দেখে রিনয় সিগারেট শেষ করে তাদের কাছে গেল। এমন সময় কলেজ থেকে বোরকা পড়া একটি মেয়ে বের হচ্ছিল, রিনয় দেখা মাত্রই গান শুরু করল, ‘ও বোরকা পড়া মেয়ে তুমার বাড়ি কই গো’ গান শেষেই বলে উঠল ‘হুয়াট এ মাল’। মেয়েটা রিনয়কে উদ্দেশ্য করে অসভ্য বলে চলে গেলো।
অর্ণব: কাজটা কি ঠিক করলি?
রিনয়: যেভাবে বলছিস মনে হচ্ছে এই রকম কাজ আমাকে আজ প্রথম করতে দেখলি।
অর্ণব: তোর ওতো একটা বোন আছে, সবাইকে বোনের নজরে দেখতে পারিস না।
রিনয়: শোন বোনকে বোনের মত দেখুম, সবাইকে বোনের মত দেখলে বউ বানাবো কাকে?
অর্ণব: (মৃদু হাসি দিয়ে) হুম তাও ঠিক।
রিনয়: বন্ধু চল তারানার স্কুল ছুটি হবে এখন, ওকে নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।
অর্নব: ও একা যেতে পারে না?
রিনয়: আর বলিস না রাস্তায় কত আজেবাজে ছেলে দাঁড়িয়ে থাকে কিভাবে একা যেতে দেই বল।
অর্ণব: (আবারও মৃদু হাসি দিয়ে) আচ্ছা চল যাই।
দু’জনেই স্কুলের দিকে রওয়ানা দিলো, স্কুলে পৌঁছে তারানার জন্য অপেক্ষা করছে রিনয় ও অর্নব।
তারানা স্কুল থেকে বের হওয়া মাত্রই অর্ণব বলে উঠল, ‘ওয়াউ’ বন্ধু তোর বোন তো জাক্কাস একটা মাল রে! সাথে সাথে রিনয় তারানার সামনেই অর্ণবের গালে একটা চড় মারলো।
রিনয়: তোর এত বড় সাহস আমার সামনে আমার বোনকে তুই এ রকম বললি!
অর্নব: ও আমার বোন হলে বোনের চোখে দেখতাম ওকে আমি, আর সবাইকে বোনের মত দেখলে বউ বানাবো কাকে?
(রিনয় নিশ্চুপ। সে বুঝে গেছে অর্নবের এভাবে বলার কারণ।)
তারানা: ভাইয়া ও এতো খারাপ কথা বলছে তুই কিছু বলছিস না কেনো?
অর্ণব: আমি বলছি। শোন রিনয় আমার কথায় তুই যতটুকু আঘাত পেয়েছিস তার থেকেও অনেক বেশি খারাপ লেগেছে তোর বোনের।
তুই কথাটা শুনা মাত্রই আমাকে চড় মারলি। ঠিক তুই যাদেরকে বলিস তাদেরও ইচ্ছে হয় এভাবে তোকে চড় মারতে।
তারা মারতে পারে না কারণ তারা আমাদের কাছে দুর্বল।
তোর বোনই আমাকে চড় মারত যদি তোর মত সাহস আর সবল থাকতো। (তারানার দিকে তাকিয়ে) সরি বোন তোমাকে এ রকম বলার জন্য। আমি এইরকম নই, তোমার ভাইকে একটু শিক্ষা দেয়ার জন্য আমি এরকম বলেছি।
তারানা: হুম, বুঝতে পারতেছি ভাইয়া আমি।
অর্ণব: তোমার ভাইকে একটু বুঝিয়ো, ছেলেদের এমন কথায় তোমাদের কতটা খারাপ লাগে এবং কি করতে ইচ্ছে হয়।
রিনয়: সরি বন্ধু। আর বুঝাতে হবে না, এতদিন মানতে কষ্ট হত সঙ্গ দোষে লোহা জলে ভাসে এই প্রবাদটি। কারণ সব খারাপ বন্ধুদের সাথে থেকেও তুই খারাপ হস নি। ভালো ছিলি, ভালোই আছিস। আজ থেকে আমি বলবো সঙ্গ গুনেও লোহা জলে ভাসে, কারণ আজ থেকে আমি ভাল হয়ে যাবো, সব ছেড়ে দিবো আর এটা সম্পূর্ণ হবে তোর জন্য।
অর্ণব: (রিনয়কে বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে) থ্যাংক্স বন্ধু।
অর্ণব: কাজটা কি ঠিক করলি?
রিনয়: যেভাবে বলছিস মনে হচ্ছে এই রকম কাজ আমাকে আজ প্রথম করতে দেখলি।
অর্ণব: তোর ওতো একটা বোন আছে, সবাইকে বোনের নজরে দেখতে পারিস না।
রিনয়: শোন বোনকে বোনের মত দেখুম, সবাইকে বোনের মত দেখলে বউ বানাবো কাকে?
অর্ণব: (মৃদু হাসি দিয়ে) হুম তাও ঠিক।
রিনয়: বন্ধু চল তারানার স্কুল ছুটি হবে এখন, ওকে নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।
অর্নব: ও একা যেতে পারে না?
রিনয়: আর বলিস না রাস্তায় কত আজেবাজে ছেলে দাঁড়িয়ে থাকে কিভাবে একা যেতে দেই বল।
অর্ণব: (আবারও মৃদু হাসি দিয়ে) আচ্ছা চল যাই।
দু’জনেই স্কুলের দিকে রওয়ানা দিলো, স্কুলে পৌঁছে তারানার জন্য অপেক্ষা করছে রিনয় ও অর্নব।
তারানা স্কুল থেকে বের হওয়া মাত্রই অর্ণব বলে উঠল, ‘ওয়াউ’ বন্ধু তোর বোন তো জাক্কাস একটা মাল রে! সাথে সাথে রিনয় তারানার সামনেই অর্ণবের গালে একটা চড় মারলো।
রিনয়: তোর এত বড় সাহস আমার সামনে আমার বোনকে তুই এ রকম বললি!
অর্নব: ও আমার বোন হলে বোনের চোখে দেখতাম ওকে আমি, আর সবাইকে বোনের মত দেখলে বউ বানাবো কাকে?
(রিনয় নিশ্চুপ। সে বুঝে গেছে অর্নবের এভাবে বলার কারণ।)
তারানা: ভাইয়া ও এতো খারাপ কথা বলছে তুই কিছু বলছিস না কেনো?
অর্ণব: আমি বলছি। শোন রিনয় আমার কথায় তুই যতটুকু আঘাত পেয়েছিস তার থেকেও অনেক বেশি খারাপ লেগেছে তোর বোনের।
তুই কথাটা শুনা মাত্রই আমাকে চড় মারলি। ঠিক তুই যাদেরকে বলিস তাদেরও ইচ্ছে হয় এভাবে তোকে চড় মারতে।
তারা মারতে পারে না কারণ তারা আমাদের কাছে দুর্বল।
তোর বোনই আমাকে চড় মারত যদি তোর মত সাহস আর সবল থাকতো। (তারানার দিকে তাকিয়ে) সরি বোন তোমাকে এ রকম বলার জন্য। আমি এইরকম নই, তোমার ভাইকে একটু শিক্ষা দেয়ার জন্য আমি এরকম বলেছি।
তারানা: হুম, বুঝতে পারতেছি ভাইয়া আমি।
অর্ণব: তোমার ভাইকে একটু বুঝিয়ো, ছেলেদের এমন কথায় তোমাদের কতটা খারাপ লাগে এবং কি করতে ইচ্ছে হয়।
রিনয়: সরি বন্ধু। আর বুঝাতে হবে না, এতদিন মানতে কষ্ট হত সঙ্গ দোষে লোহা জলে ভাসে এই প্রবাদটি। কারণ সব খারাপ বন্ধুদের সাথে থেকেও তুই খারাপ হস নি। ভালো ছিলি, ভালোই আছিস। আজ থেকে আমি বলবো সঙ্গ গুনেও লোহা জলে ভাসে, কারণ আজ থেকে আমি ভাল হয়ে যাবো, সব ছেড়ে দিবো আর এটা সম্পূর্ণ হবে তোর জন্য।
অর্ণব: (রিনয়কে বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে) থ্যাংক্স বন্ধু।