অনলাইন ডেস্কঃ যমুনা নদীতে বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে বড় বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ হচ্ছে। ফোরলেনের ডুয়েল গেজ এ সেতু দিয়ে দ্রুতবেগে যাত্রীবাহী ও কন্টেইনার ট্রেন চলাচল করবে। আর এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিস্তারিত ডিজাইন, দরপত্র সহায়তা ও সুপারভিশন কাজের পরামর্শক নিয়োগ পেতে যাচ্ছে জাপানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল লিমিটেড। এসব কাজ করে দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি পাবে ৭৯৮ কোটি টাকা।
এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতা হতে যাওয়া সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সভার বৈঠকেই এ প্রস্তাবটি অনুমোদন পেতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক নিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে তিন প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্য থেকে সবদিক বিবেচনায় জাপানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল লিমিটেড এ দায়িত্ব পায়।
সূত্র জানায়, রেলসেতুর পুরো প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এই সেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। অবশিষ্ট প্রায় দুই হাজার ১০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, এ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হয়েছে। এটি যদি অনুমোদিত হয় তাহলে দেশের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, গোটা দেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে যমুনা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, জাপানের অর্থায়নে নির্মিত এ সেতু হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু। ডুয়েল গেজ (ডবল লাইন) এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এ রেলসেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। চলতি বছর কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু নির্মাণ শেষ করবে রেলপথ বিভাগ।
পদ্মা সেতুর মতো এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সরাসরি তদারক করবে। এতে কাজের গতি বাড়বে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, এর আগে গত ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ‘যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই রেলসেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা। অবশিষ্ট প্রায় দুই হাজার ১০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
এদিকে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, যমুনায় প্রস্তাবিত রেলসেতু অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রেল যোগাযোগে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কনটেনার পরিচালনার জন্য কনটেনার ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে মাল বহনের (লোড) সক্ষমতা এবং ট্রেনের গতিও (স্পিড) বাড়বে। এর ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এ সেতুর ফলে জ্বালানি সরবরাহের জন্য গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ৩০০ মিটার উজানে প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডেডিকেটেড ডুয়েল গেজ স্টিল রেলব্রিজ নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে শূন্য দশমিক ৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম রেলস্টেশন ভবন এবং স্টেশন চত্বর মেরামত ও রিমডেলিং করা হবে। এছাড়া কম্পিউটার ইন্টারলকিং সিগন্যালিং সিস্টেমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম রেলস্টেশন আধুনিকায়নসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম করা হবে। সুত্রঃ জাগো নিউজ
এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতা হতে যাওয়া সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সভার বৈঠকেই এ প্রস্তাবটি অনুমোদন পেতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক নিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে তিন প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্য থেকে সবদিক বিবেচনায় জাপানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল গ্লোবাল লিমিটেড এ দায়িত্ব পায়।
সূত্র জানায়, রেলসেতুর পুরো প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এই সেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। অবশিষ্ট প্রায় দুই হাজার ১০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, এ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হয়েছে। এটি যদি অনুমোদিত হয় তাহলে দেশের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, গোটা দেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে যমুনা নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, জাপানের অর্থায়নে নির্মিত এ সেতু হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু। ডুয়েল গেজ (ডবল লাইন) এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এ রেলসেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। চলতি বছর কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু নির্মাণ শেষ করবে রেলপথ বিভাগ।
পদ্মা সেতুর মতো এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সরাসরি তদারক করবে। এতে কাজের গতি বাড়বে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, এর আগে গত ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ‘যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই রেলসেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা। অবশিষ্ট প্রায় দুই হাজার ১০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
এদিকে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, যমুনায় প্রস্তাবিত রেলসেতু অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রেল যোগাযোগে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কনটেনার পরিচালনার জন্য কনটেনার ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে মাল বহনের (লোড) সক্ষমতা এবং ট্রেনের গতিও (স্পিড) বাড়বে। এর ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এ সেতুর ফলে জ্বালানি সরবরাহের জন্য গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ৩০০ মিটার উজানে প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডেডিকেটেড ডুয়েল গেজ স্টিল রেলব্রিজ নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে শূন্য দশমিক ৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম রেলস্টেশন ভবন এবং স্টেশন চত্বর মেরামত ও রিমডেলিং করা হবে। এছাড়া কম্পিউটার ইন্টারলকিং সিগন্যালিং সিস্টেমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম রেলস্টেশন আধুনিকায়নসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম করা হবে। সুত্রঃ জাগো নিউজ