অনলাইন ডেস্কঃ ১৯৮০-র দশকের আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় কিছু হাউসবোট-বাসিন্দা গভীর রাতে এক অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পান। পানির গভীর থেকে আসা সেই আওয়াজ এতটাই গোলমেোলে যে, তারা এই আওয়াজকে মিলিটারি কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে ভিনগ্রহের প্রাণীদের বচসা পর্যন্ত ভেবেছিলেন।
পরে জানা যায়, পানির তলা থেকে আসা ওই আওয়াজ আসলে ‘মিডশিপম্যান’ নামের এক মাছের। সারা রাত ধরে তারা যে আওয়াজ করে, তাকেই ‘মাছের সংগীত’ বলে চিহ্নিত করা হয়।
জীববিজ্ঞানীদের মতে, এই ‘গান’ আসলে মিলনের আহ্বান। প্রজনন ঋতুতেই এই আওয়াজ বেশি করে শোনা যায়। কোথা থেকে আসে এই আওয়াজ, জানার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রায় তিন দশক ধরে গবেষণা চালাচ্ছেন।
সম্প্রতি ‘জার্নাল অফ কারেন্ট বায়োলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধে মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই সংগীতের পিছনে যে হরমোন কাজ করে তা এমন কিছু দুষ্প্রাপ্য নয়। যে হরমোনের প্রভাবে মানুষের ঘুম পায়, সেই মেলাটোনিনের প্রভাবেই গান গায় মিডশিপম্যান। আর সব থেকে গুরত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে- এই গানটা গায় পুরুষ মাছ।
তবে বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু বাস-এর দাবি, স্ত্রী-মাছও গান গাইতে সক্ষম। তিনি দেখিয়েছেন, এই গানের সুর-তাল নির্ণয় করে তাদের শরীরের ভিতরে থাকা এক বায়োলজিক্যাল ঘড়ি।
হরমোনের রহস্যময় জগৎকে জানতে মিডশিপম্যানের আচরণের উপরে নজর রাখা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন অ্যান্ড্রু বাস।