বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের বিয়ানীবাজারে উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের কলেজ রোডে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ শহরের উত্তরবাজার, কলেজ রোড ও দক্ষিণবাজারে সর্তক অবস্থায় রয়েছে। সংঘর্ষে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলেও পুলিশ ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করে।

জানা যায়, গত এক সপ্তাহ থেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম পল্লব সমর্থিত ছাত্রলীগ পল্লব গ্রুপের সাথে ছাত্রলীগের স্বাধীন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোমবার দুপুর আড়াইটায় ছাত্রলীগের এ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর এক পর্যায়ে স্বাধীন গ্রুপ পিছু হটলে পল্লব গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুছ টিটুর অফিস ভাংচুর করে। এ সময় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা অস্ত্র উচিয়ে স্লোগান তুলে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পথচারী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের কতজন আহত হয়েছে তা জানা যায় নি।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ কলেজ অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ ঐ স্থান ত্যাগ করে। কলেজ রোড থেকে পোস্ট অফিস রোড হয়ে দক্ষিণ বাজার যাওয়ার পথে পুলিশ পোস্ট অফিস রোড থেকে পল্লব গ্রুপের হাবিব ও নাইমকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাগ জব্দ করে পুলিশ। তবে ব্যাগে কি রাখা আছে তা জানা যায়নি। পুলিশ উপজেলা হাসপাতাল এলাকা থেকে স্বাধীন গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী আহমেদ শাকিলকে আটক করে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাধীন গ্রুপের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে পল্লব গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা জাফর আহমদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর সময় তার গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাকে রক্ষা করেন। এরপর পল্লব গ্রুপ সংঘটিত কলেজ ও কলেজ রোড এলাকায় অবস্থান নেয়ার পূর্বে স্বাধীন গ্রুপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গত শনিবার ও রবিবার উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোন সংঘর্ষ ঘটেনি।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আটক হাবিব ও নাইমকে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপরজন থানা হাজতে রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কলেজ প্রশাসনের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুত্রঃ সিলেটটুডে

Post a Comment

Previous Post Next Post