ক্রীড়া প্রতিবেদক: ভারতের মাটিতে পঞ্চম দিনের পিচ। সাত উইকেট নিয়ে টিকতে হবে ৯০ ওভার। সমীকরণ কঠিন। জয়ের হিসাব আগেই বাদ। ড্র করতে করতে হতো ক্রিজে থাকার কঠিন লড়াই। তবে তার জন্য হয়ত মানসিক প্রস্তুতি ছিলো না বাংলাদেশের। হায়দ্রাবাদ টেস্টের শেষ দিনের শেষ সেশনের কাছে গিয়ে তাই হেরে গেল মুশফিকুর রহিমের দল। ২০৮ রানের হার। চারটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে ভারতের নায়ক রবীচন্দ্র অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা।
রান সংখ্যায় বেশ বড় হার। এই সংখ্যা অবশ্য পুরো ম্যাচের লড়াইয়ের চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন তাসকিন আউট হলেন অপরপ্রান্তে ৭০ বলে ৩ রান করে অপরাজিত কামরুল ইসলাম রাব্বি। যেন আফসোস বাড়ালেন তিনি। তার মতো অন্তত আরও তিনজন ব্যাট করলেও ড্রটা হয়েই যেত। মাত্রই তো আর একটা সেশন বাকি! প্রথম ইনিংসে ১২৮ ওভার ব্যাট করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১০০ ওভার ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। আরও ২৫ ওভার ব্যাট করতে পারলে গড়া হত ইতিহাস। ভারতের মাটিতে সফরকারী কোন দল যে চতুর্থ ইনিংসে এত ওভার ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। বাংলাদেশও পারল না।
দিনের শুরুতেই জাদেজার হঠাৎ লাফিয়ে উঠা বলে সাকিব ফিরলেন। ধস নামতে না দিয়ে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক সেট হলেন। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মাহমুদুল্লাহ ৬৪ রান করলেন। নির্বিঘ্নে খেলছিলেন। উইকেটে থাকতে পারতেন আরও অনেকক্ষণ। ইশান্তের বাউন্সারে টাইমিংয়ে গড়বড় করে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন। তখনই আসলে বাংলাদেশের আশার শেষ আলো নিভে গেল। এর আগে এ দুজনের কাছ থেকে যখন লম্বা সময় ক্রীজে থাকার প্রত্যাশা তখনই কি যে হয়ে গেল মুশফিকের! একদম স্বভাব বিরুদ্ধভাবে তেড়েফুড়ে অশ্বিনকে বাইরে এসে মারতে গেলেন। ক্যাচ নিতে মিড অফে দাঁড়ানো জাদেজাকে একটু কষ্ট করতে হলো না।
সাব্বির ফিরেছেন ইশান্তের সুয়িংয়ে। জাদেজার লাফিয়ে উঠা বলের জবাব ছিলো না মিরজের কাছে।
ভারত ১ম ইনিংস: ৬৮৭/৬ (ইনিংস ঘোষণা)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৮৮
ভারত ২য় ইনিংস: ২৯ ওভারে ১৫৯/৪ (ইনিংস ঘোষণা)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ৩৫ ওভারে ২৫০/১০ (লক্ষ্য ৪৫৯) (তামিম ৩, সৌম্য ৪২, মুমিনুল ২৭, মাহমুদউল্লাহ ৬৪, সাকিব ২২, মুশফিক ২৩, সাব্বির ২২, মিরাজ ২৩, কামরুল ৩*, তাইজুল ৬, তাসকিন ১।
ভুবনেশ্বর ০/১৫, অশ্বিন ৪/৭৩, ইশান্ত ২/৪০, উমেশ ০/৩৩, জাদেজা ৪/৭৮)।
ফল: ভারত ২০৮ রানে জয়ী।